মহান স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও হয়নি লালমনিরহাট পৌরসভার সাথে মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ ও বত্রিশ হাজারীতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম খোরারপুল সেতু।
এখানে সাবরীখানা নদীর উপর রেলওয়ে লাইন দিয়ে প্রতিদিন রেলওয়ে ঝুঁকি পূর্ণ সেতু হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পাড়াপাড় হয়। তবে সেতুটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মাঝে মাঝে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাতায়াতকারীদের।
তাই স্বাধীনতার ৫৩বছর ধরে সাবরিখানা নদীতে ফুলগাছ খোরারপুলে একটি সেতুর জন্য আকুতি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। সেই সাথে বিকল্প একটি সড়কও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
কারণ লালমনিরহাট-মোগলহাট (১০কিলোমিটার) রেলওয়ে লাইনে ট্রেন চলাচল চালু হলে একটি সেতু ও একটি বিকল্প রাস্তার প্রয়োজন হবে। ইতিপূর্বে উক্ত স্থানে একটি স্থায়ী বাঁশের সাঁকো ছিলো মর্মে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর ওই খোরারপুল নামক জায়গায় সেতু ও রাস্তা নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।
প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এই পথে যাতায়াতকারীরা। অথচ, একটি রাস্তা ও একটি সেতুর কারণে কৃষি পণ্য পরিবহন এবং গুরুতর অসুস্থ্য রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় উত্তর পাড়ের বাসিন্দাদের। তাই সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘবে ফুলগাছের খোরারপুল সাবরিখানা নদীতে সেতু চান স্থানীয়রা।
মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের এই কাঙ্খিত সেতুটা অবিলম্বে যাতে হয়। এই সেতুটা যদি হয়ে যায় তাহলে সেবার মান বাড়বে, এলাকার উন্নয়ন হবে।
প্রসঙ্গত, এখানে সেতু হলে সরাসরি সড়ক যোগাযোগে যুক্ত হবে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের সাকোয়া ও লালমনিরহাট পৌরসভার খোঁচাবাড়ী, সবুজপাড়া, শাহজাহান কলোনী, সাধুটারী এবং মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ, বত্রিশ হাজারী, কোদালখাতা গ্রাম। কষ্ট দূর হবে কয়েক হাজার মানুষের।